Sponsor

Header Ads

শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯

দীক্ষা মন্ত্র কানে কানে কেন !?


দীক্ষা মন্ত্র কানে কানে কেন !?
ঘরের মধ্যে কিংবা নির্জন স্থানে এক এক করে ডেকে নিয়ে কানের কাছে মুখ লাগিয়ে ফিস ফিস করে কি যেন বলে জানিয়ে দিচ্ছে - "কারো কসনে বাবা !!" কেউ জানতে পারলে নাকি দীক্ষা চলে যাবে । " নগত লক্ষ্মী হাতে নিয়ে পকেটে পুরে দিচ্ছেন গুরু ! এভাবে একের পর এক ডেকে নিয়ে দীক্ষার নামে নগত কারবারি চলে আসছে হিন্দুদের মধ্যে ! প্রাচীন প্রথা - পাপে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবার ভয়ে গুরুকে জিজ্ঞাসা করতেও ভয় লাগে কেন এমন ভাবে গোপনে ভগবানকে ডাকতে শেখানো হচ্ছে !! দীক্ষা মানে তো ভগবানের আরাধনা , তবে সেটা এভাবে গোপনে প্রচার হবে কেন ? কেন সবাই জানতে পারব না ? দীক্ষায় মুগ্ধ হয়ে কেন অন্য ধর্মের কেউ হিন্দুত্ব গ্রহন করবে না ? কেন ধর্মের শ্লোকগুলো স্পষ্ট উচ্চশ্বরে উচ্চারনে সবার কানে পৌছাবে না ? প্রতিটা ধর্মে ধর্মগ্রন্থের আলোচনা বা উচ্চারন খোলামেলা আলোচনা হয় , তবে হিন্দু ধর্মে কেন এই লুকোচুরি ? কি লাভ বা কাদের লাভ হয়েছে এইসব লুকোচুরিতে ?? আরবিতে লেখা ধর্মীয় শ্লোকগুলো আজ একজন অন্ধ অশিক্ষিত ব্যাক্তিও অনর্গল বলে যাচ্ছে ! মুল কারন সেই সব শ্লোকগুলো শেখানোর পদ্ধতি । মাইক লাগিয়ে উচ্চ গলায় শুদ্ধ উচ্চারনের কল্যানে সেই সব সুরা এখন হিন্দুরাও অনেক বলতে পারে ! আর আমরা হিন্দু হয়েও আজো জানিনা কি আছে হিন্দু শাস্ত্রে !! কে বা কারা এই গোপন সুত্র আবিষ্কার করে গেল ?? উপসংহারে বলাও আছে গুরু নিন্দা পাপ !! বাবা !! সাধারন হিন্দুদের বিপদে এই সব গুরু বা ব্রাহ্মনদের কোন প্রতিবাদ করতে কেউ কোনদিন দেখেছেন ? হিন্দুরা কি আসলে এই ভাবেই থেকে যাবে ?? হিন্দুদের মেয়েদের নিয়ে যাচ্ছে অন্যধর্মাম্বালীরা - এই চিন্তায় ঘুম হারাম হিন্দুদের । কথা হল - হিন্দু ধর্ম থেকে কি শিখছি আমরা ? পাপ পুন্য , ভগবানের অস্থিত্ব সম্পর্কে , বা মৃত্যুর আগে পরে কি আছে বা নাই তার কোন সঠিক ধারনা সে ভাবে কোথাও আলোচনা নেই ! সেখানেও এক এক গুরু এক এক গল্প নিয়ে বসে আছেন । কারো ব্যাখ্যা কারো সাথে মেলে না ! এই যদি হয় একটি ধর্মের অবস্থা , তাইলে তো বিধর্মীদের মার আজীবন খেতেই হবে আর ফেসবুকে এসে ম্যাউ ম্যাউ করতেই হবে ।

৮টি মন্তব্য:

  1. *কে বলেছে আপনাকে এই সব বাজে কথা?*
    *আপনি কি সবজান্তা?*

    শ্রীশ্রীচণ্ডী পাঠ
    শ্রীমদ্ভাগবদ্ গীতা
    এগুলো সবই মন্ত্র।
    এগুলো সবই জোরে জোরে পাঠ করা।

    গুরুমন্ত্র কেন কানে কানে বলা হচ্ছে এতো উৎসুক হওয়ার কি আছে?
    সময় যখন হবে আপনাকেও এইভাবেই নিতে হবে।
    আপনার মস্তিষ্ক কি স্বামী বিবেকানন্দ / শঙ্করাচার্যের চেয়ে জোরালো।
    আপনি একটা মতবাদ (Doctrine) আবিষ্কার করুন।
    শঙ্করাচার্য অদ্বৈতবাদ মতবাদ প্রচার করেন।
    শ্রীরামকৃষ্ণ 'যত মত তত পথ' মতবাদ প্রচার করে গেছেন।
    স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকার বিশ্বধর্মসভায় বক্তব্য রেখে হিন্দু ধর্মকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম প্রমাণ করে গেছেন। রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বে প্রায় 216 টি শাখা কেন্দ্র রয়েছে। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি রামকৃষ্ণ ও কৃষ্ণ ভক্ত রয়েছে। আপনি কি কিছুই দেখতে পান না। আসলে আপনার দেখার মত চোখ আছে তো? ধারণা করার মতো মাথা আছে তো?
    আপনার মতো হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
    প্রশ্ন করার আগে নিজের বুদ্ধিটা একটু নেবেন। নমস্কার।

    উত্তরমুছুন
  2. আমরা যেমন আপনাদের সাইটে ঢুকি তেমনি আপনারাও আমাদের সাইটে ঢুকুন পড়ুন আর পার্থক্যটা বুঝুন। আপনি যদি স্বর্গে বা বেহেশত যান তাতে আমার কোন লাভ নেই, লাভ আপনার। আপনি দুইটি জিনিষ পড়লে কোন টা সঠিক তা আপনি বুঝতে পারবেন। এজন্য আপনাকে কারো কাছে যেতে হবে না।

    উত্তরমুছুন
  3. আপনি দীক্ষা নিয়েছেন কি না জানি না? আগে দীক্ষা নিয়ে তার পর আলোচনা করুন। দীক্ষা নিতে গেলে মানসিক যে চিন্তা ভাবনা থাকা দরকার তা আপনার মধ্যে নেই। সেই জন্য নানা রকম চিন্তা ভাবনা করেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নানা মুনির নানা মত আপনার যে মত ভাল লাগে সেই মতে চলুন। আপনি যে মত প্রকাশ করেছেন ওটাও একটা মত। কাক হয়ে বক সাজতে গেলে আগে শরীরের ও মনের রং বদলাতে হবে। 🙏 নমস্কার নেবেন। ভালো থাকবেন। জয় গুরু 🙏।

    উত্তরমুছুন
  4. দীক্ষা মন্ত্র কেবল ডান কর্নে শোনা উচিৎ। তাই গোপনে নির্জনে (যাই আপনি বলুন) দীক্ষা মন্ত্র দেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্র দেওয়া হয় বাম কর্নে।
    মানসিক বাচিক এবং উপাংশু এই তিন প্রকার জপের বিধান আছে। এরমধ্যে শ্রেষ্ঠ জপ হলো মানসিক জপ। তাই দীক্ষা মন্ত্র উচ্চারণ নিষিদ্ধ। (গুরু ও তার শিষ্যকে নিজ মন্ত্র দান করেন না, কারন গুরুর ও গুরু আছে)

    উত্তরমুছুন
  5. আর যার কান নাই , তার কোন কানে নিবে, এই কথা কোথায় পেয়েছেন, মার খাবেন, কথা বলবেন না, জোরে বলতে ভয় পান নাকি?

    উত্তরমুছুন
  6. খাইলে জাত জায় না , কইলে জাত জায়, এই হিন্দু ধরম/

    উত্তরমুছুন

Thank you for Comment