ভোটের কাটাকুটি খেলায় ক্রমেই উজ্জ্বল হচ্ছে বামেদের জেতার সম্ভাবনা। গত লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া কেন্দ্রের রাশ তৃণমূলের হাতে গেলেও, এবার লাগাম বামেদের হাতে যেতে পারে।
গোটা রাজ্যে গত লোকসভা নির্বাচনে চতুর্মুখী লড়াই হয়েছিল। পুরুলিয়ায় প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাতো। জনপ্রিয় এই চোখের ডাক্তারের বাবা কংগ্রেস করতেন। তাই হাসপাতালের চাকরি ছাড়িয়ে মৃগাঙ্ককে টেনে নেওয়া হয় তৃণমূলে। তুলে দেওয়া হয় পুরুলিয়া কেন্দ্রের টিকিট।
প্রভু শ্রী রাম এই দানবকে কেন জীবিত করেছিলেন, জানো ?
প্রভু শ্রী রাম এই দানবকে কেন জীবিত করেছিলেন, জানো ?
মৃগাঙ্ক প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই প্রায় দেড় লক্ষ ভোটে জিতে যান। তবে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। পুরুলিয়া কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দাবীদার ছিলেন অনেকেই। তাঁদের বাদ দিয়ে মৃগাঙ্ককে প্রার্থী করে দেওয়ায় খেপে যায় তৃণমূলের একটা বড় অংশ।
আগের বার বামেদের প্রার্থী ছিলেন নরহরি মাহাতো পুরুলিয়া কেন্দ্রে। নরহরি ছিলেন শিক্ষক। আদ্যন্ত বামপন্থী ভাবধারায় বিশ্বাসী এই মানুষটিকেই প্রার্থী করে দেয় ফরওয়ার্ড ব্লক। বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রার্থীও এই কেন্দ্রে ছিল।
বীরসিংহের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন তাঁরই আত্মীয় সুভাষ মাহাতো। বিজেপি সুভাষকে প্রার্থী করে আদতে বামেদেরই বেগ দিতে চায়। তবে লোকসভা ভোটের টিকিটের শিকে ছিঁড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল নরহরির ভাগ্যেই।
তৃণমূল সূত্রের খবর, মৃগাঙ্ককে এবার সম্ভবত আর প্রার্থী করা হবে না। দলের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের কারণেই ডাক্তারবাবুকে ফের প্রার্থী করছে নাই তো তৃণমূল।
এই কেন্দ্রে কাকে দাঁড় করায় মৃগাঙ্ককে সরিয়ে তৃণমূল, তা জানতে আগ্রহী পুরুলিয়ার বাসিন্দারাও। কারণ, প্রার্থী বহিরাগত হলে দলের নিচু তলায় বাড়বে ক্ষোভ। যার মাশুল দিতে হবেক তৃণমূলকে। তবে পার্টি নিবেদিত প্রাণ এমন কাউকে প্রার্থী করা হলে বামেদের টক্কর দিবেক তৃণমূল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thank you for Comment